সময় যখন থমকে দাঁড়ায়
-রাণা চ্যাটার্জী
বুকের মধ্যে এক সমুদ্র কোলাহল চেপে
বদ্ধ ঘরে ভাবুক স্বত্বার কড়িকাঠে উদাস চাহনি।
বাইরে রৌদ্রের চিৎকার গায়ে মেখে ফেরিওয়ালার খদ্দের হীন পথ হাঁটা…
শোকের চাদর গায়ে মেখে বাড়ি মহল্লার নিস্তব্ধতা,
বড্ড বেমানান প্রাণ চঞ্চল পাখি প্রকৃতির কাছে!
তবু ফোঁটা ফোঁটা জমে সমুদ্র হওয়া পাপের প্রায়শ্চিত্তে হাবুডুবু আধুনিক শৈলী পটু মানব কূল!
বাড়ির ডাস্টবিনে খাবার উপযোগী কিছু নেই জেনেও বারে বারে রাস্তার ভবঘুরে বেড়ালের উঁকি,
জানে সে জীবনের ঝুঁকি তবু লক্ষ্য বস্তু পাওয়ার উদগ্রীবতা মোহিত করে…
ছুঁড়ে দিতে কই পারে রান্না করা মাছের টুকরো-
কাজ হারানো অর্ধভুক্ত শ্রমিক!
তবু আশায় বাঁচে অসহায় চোখের অসম বন্ধুত্ব।
অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঝাঁপ নামা ফ্যাক্টরি গেট…
“মানছি না মানবো না, দিতে হবে করতে হবে” দাবি দাওয়া আদায় আন্দোলনের পোস্টার সাঁটা দেওয়াল ঘেঁষে শুয়ে রাত জাগে অভুক্ত সারমেয়!
তবুও নিরুপায় থমকে যাওয়া গতিশীল সময়,
পরীক্ষা নেয় ধৈর্য্যের, প্রকৃত সচেতনতা,
কতটা আত্মস্থ করেছে, “সব জানি বুঝি ভাবখানার নাগরিক” সেটাই সব থেকে বড় প্রশ্ন চিহ্ন!
মুক্তি কি আছে আদৌ এই নাগপাশ থেকে…ভেঙে পড়ে শুধু অর্থনীতির চাঙড়!
একটা ভয় যায় তো এসে পরে আর এক ধ্বংস,
মৃত্যুর লাশের ওপর প্রতিহিংসার বিজয় উল্লাস!